/ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদের কোনো প্রার্থীরই দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করার পরিকল্পনা নেই /
২৪খবরবিডি: 'মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কঠিন হচ্ছে জীবন। এদিকে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাঁজ পড়েছে কপালে। আসন্ন শীতে কী হবে? ছেলে-পেলে নিয়ে ঠান্ডা ঘরেই রাত কাটাতে হবে না তো? নাকি ঘর গরম রাখার খরচ মেটাতে বাজার খরচে আরও কৃচ্ছতা দেখাতে হবে? এমন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যুক্তরাজ্যের অনেকে।'
সেখানে গ্রীষ্ম চলছে। দেশটির স্বাস্থ্যখাতের নেতারা সতর্ক করেছেন, শীতকালের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম না কমালে ভয়াবহ মানবিক সংকটের সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সংঘের প্রধান নির্বাহী ম্যাথিউ টেলর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ঘর গরম রাখার জন্য অনেককেই তাদের খাদ্যের বাজেট কমাতে হতে পারে। অনেকেই ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে ঘরে থাকতে বাধ্য হতে পারেন। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই পরিবহন ও ডক শ্রমিকেরা ধর্মঘট করছেন। ধর্মঘট করেছেন ফৌজদারি মামলার আইনজীবীরাও। আর সংকট দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যসেবায়। কঠিন এক সময় কাটাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের মানুষ। অথচ সংকট নিরসনে সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এখন গ্রীষ্মের ছুটিতে রয়েছেন। সরকারের একজন মুখপাত্র সিএনএনকে বলেছেন, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এসে আগামী মাসগুলোর আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত আমরা সরাসরি মানুষকে সহায়তা দিচ্ছি। ৩৭ বিলিয়ন ডলারের এই সহায়তা প্যাকেজ মানুষকে জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহে কিছুদিন সহায়তা করবে। তবে রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেন, এই সহায়তা অপ্রতুল।
এ বিষয়ে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সিএনএন বলছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদের কোনো প্রার্থীরই দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করার পরিকল্পনা নেই। অক্টোবরে বিদ্যুতের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে দেশটিতে। বিরোধী লেবার পার্টি অবিলম্বে এটি প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছে।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, সংকটে ব্রিটেন
'যুক্তরাজ্যে এই সপ্তাহে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এটি জীবনযাত্রাকে কঠিন থেকে আরও কঠিন করে তুলেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বছর শেষে দেশটির জিডিপি আরও সংকোচিত হতে পারে। ফলে সৃষ্টি হতে পারে মন্দা পরিস্থিতি।'